শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
প্রবাসী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রবাসী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রবাসী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
প্রবাসী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক: প্রবাসী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৬নং নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আব্দুল খালেক সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী ওই নারী বীরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার পর বাবার বাড়িতে অবস্থান করাকালে ২০১৫ সালের ঈদ উপলক্ষে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সরকার সরকারি চাল দেয়ার জন্য ওই নারীকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেন। তার কথামত ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সেখানকার একটি পুরাতন ভবনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।

ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন এবং জানালে তার পরিবারের সবাইকে মেরে লাশ গুম করে দিবে বলে জানান চেয়ারম্যান। এভাবে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওই নারীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখেন চেয়ারম্যান। এরপর ওই নারী কাজের জন্য সৌদি আরবে চলে যান।

বিদেশে থাকা অবস্থায় চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে যৌন উত্তেজক কথাবার্তা বলতেন। দুই বছর পর সম্প্রতি ওই নারী সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আসলে তার বাবা-মা একই উপজেলার এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। দেশে ফেরত আসা এবং অন্য ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ের খবর শুনে চেয়ারম্যান খালেক সরকার মোবাইল ফোনে ওই নারীকে নানা ধরনের হুমকি দেন। পরে ভিডিওগুলো ফেরত দেয়ার কথা বলে দেখা করতে বলেন।

তার কথামতো গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নোখাপাড়ায় চেয়ারম্যানের ইটভাটার পাশে মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুর রশিদের বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এ সময় ওই নারী তার মোবাইলের মেমোরি খুলে নেন এবং চেঁচামেচি করলে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে তিনি পরিবারের পরামর্শে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ ব্যাপারে নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সরকারের মঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পর পর দু’বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছি। তাই প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে একটি কুচক্রী মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এটি সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত কাজ এবং আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। জাগো নিউজ

মতিহার বার্তা ডট কম: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply